মস্তিষ্কের টিউমার ধরা পড়বে মাত্র ১ ঘণ্টায়! রক্ত পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে?
মস্তিষ্কের টিউমার ধরা পড়বে মাত্র ১ ঘণ্টায়! রক্ত পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে?
মস্তিষ্কে টিউমার বাসা বেঁধেছে কি না, তা ধরা পড়বে মাত্র এক ঘণ্টাতেই। রক্ত পরীক্ষার এক বিশেষ পদ্ধতি আবিষ্কার করে এমনই দাবি করেছেন নোত্র দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁদের দাবি, গ্লিয়োব্লাস্টোমার মতো মারণরোগ ধরা পড়বে রক্তের একটি পরীক্ষা করলেই। আর তা হবে মাত্র ৬০ মিনিটেই।
গ্লিয়োব্লাস্টোমা ব্রেন টিউমারেরই একটি ধরন, যা প্রাণঘাতী। গবেষকেরা জানিয়েছেন, গ্লিয়োব্লাস্টোমার রোগীরা খুব বেশি দিন বাঁচেন না। আর এই টিউমার ধরাও পড়ে অনেক দেরিতে। তাই চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয়। যদি গোড়াতেই রোগ সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায়, তা হলে চিকিৎসা শুরু হতে পারে অনেক আগেই। সে জন্যই এমন এক পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে, যা খুব দ্রুত বলে দিতে পারবে মস্তিষ্কে ক্যানসার হয়েছে কি না।
গ্লিয়োব্লাস্টোমা ব্রেন টিউমারেরই একটি ধরন, যা প্রাণঘাতী। গবেষকেরা জানিয়েছেন, গ্লিয়োব্লাস্টোমার রোগীরা খুব বেশি দিন বাঁচেন না। আর এই টিউমার ধরাও পড়ে অনেক দেরিতে। তাই চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয়। যদি গোড়াতেই রোগ সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায়, তা হলে চিকিৎসা শুরু হতে পারে অনেক আগেই। সে জন্যই এমন এক পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে, যা খুব দ্রুত বলে দিতে পারবে মস্তিষ্কে ক্যানসার হয়েছে কি না।
নোত্র দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এক ধরনে বায়োচিপ তৈরি করেছেন, যা ক্যানসারের উপাদানগুলিকে চিহ্নিত করতে পারবে। কী ভাবে? টিউমার যখন বাড়তে শুরু করে, তখন তার থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট কণা বেরিয়ে রক্তে মিশতে থাকে। এগুলিকে বলে ‘এক্সোজ়োম’। এক ধরনের ন্যানোপার্টিকল, যা দেখতে থলির মতো। এগুলি বেরিয়ে রক্তে বাহিত হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বায়োচিপ ওই কণাগুলিকেই শণাক্ত করবে এবং কী ধরনের টিউমার বাসা বেঁধেছে মস্তিষ্কে, তা-ও বলে দিতে পারবে।
রক্ত পরীক্ষার জন্য একটি ছোট যন্ত্র তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে লাগানো থাকবে ওই বায়োচিপ। রোগীর শরীর থেকে ১০০ মাইক্রোলিটার রক্ত নিয়ে পরীক্ষাটি করা হবে। খরচ পড়বে ২ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৮ টাকা। গবেষকেদের দাবি, এই পরীক্ষা পদ্ধতি সফল হলে ভবিষ্যতে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার, হার্টের রোগ, স্মৃতিনাশের মতো দুরারোগ্য রোগও সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
এই পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে স্নায়ুরোগ চিকিৎসক অনিমেষ করের বক্তব্য, “বিদেশে অস্ত্রোপচারের জন্য অত সময় দেয় না। তাই চটজলদি রোগ ধরার জন্য ওই যন্ত্র তৈরি হয়েছে। এখন এই যন্ত্র কতটা কার্যকরী হবে, আমাদের দেশে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা সময়ই বলবে।” চিকিৎসকের কথায়, মস্তিষ্কের টিউমার সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা অত সহজ নয়। এমআরআই স্ক্যান করেও অনেক সময়ে বোঝা যায় না যে, টিউমারটি ক্যানসারের কারণ হবে কি না। তার জন্য টিউমার কোষ বায়োপসি করে মাইক্রোস্কোপের নীচে নিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। ‘ট্রাইনেট্রা-গ্লিয়ো’ নামে এক ধরনের রক্ত পরীক্ষা আছে, যা মস্তিষ্কের টিউমার চিহ্নিত করার জন্য প্রয়োগ করা হয়। রক্তে ভাসমান টিউমার কোষগুলিকে আলাদা করে নিয়ে মাইক্রোস্কোপের নীচে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাই যে কোনও পদ্ধতিই সঠিক হবে কি না, তা দীর্ঘ সময়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই বোঝা যাবে।
সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
No comments
New comments are not allowed.